প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

এ গ্রামের সম্ভ্রান্ত  পরিবার সমূহের মধ্যে শীর্ষস্থানে অবস্থান বকসী পরিবারের । বংশমর্যাদায় যেমন শ্রেষ্ঠত্বের দাবীদার তেমনি শিক্ষা-দীক্ষায়, সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানে এ জনপদের অন্য সবের উপর রয়েছে এ পরিবারের অতুলনীয় সম্মান। বাবু  সুধাংশু ভূষণ বকসী ছিলেন এলাকার একজন সমাজসেবী ও দানশীল ব্যক্তি ।তিনি এই এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য সেবার কথা বিবেচনা করে  শালিখা উপলেজা স্বাস্থ্য  কমপ্লেক্স  নির্মাণে প্রায় ৬ একর জমি দান ।গ্রামের হাট বাজার উন্নয়নে হাজরাহাটি বাজার অর্থাৎ টেকের বাজার প্রতিষ্ঠায় জমি দান করেছিলেন। তাঁর  বড় ছেলের নাম প্রশান্ত কুমার বকসী, ছোট ছেলের নাম প্রতীক কুমার বকসী । শিক্ষা দীক্ষায় পিছিয়ে পড়া অবহেলিত এ জনপদের মানুষের কাছে শিক্ষার আলো পৌছে দেয়ার জন্য উনারা এলাকার মান্যগণ্য মানুষ কে সাথে নিয়ে গড়ে  তোলেন এ কলেজ। ২০১৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি হাটি হাটি পা পা করে এ কলেজের যাত্রা শুরু।কলেজের প্রতিষ্ঠা লগ্নে প্রশান্ত কুমার বকসী ও প্রতীক কুমার বকসীর মা  কৃষ্ণা রাণী  বকসী দান করেন ১ একর জমি।  পরবর্তীতে বকসী পরিবার দান করেন ৫০ শতাংশ জমি। কলেজ শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সকল প্রকার সাহায্য সহযোগিতায় উনারা আমাদের পাশে আছেন। কলেজ প্রতিষ্ঠা থেকে অকুতোভয়  সৈনিকের মত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন  কলেজের প্রিন্সিপাল জহুরুল ইসলাম সবুজ ।এক ঝাক তরুণ উদ্যমী শিক্ষক বৃন্দের সাথে  নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে অফিস স্টাফের সকলেই।

অল্প দিনের পথ চলায় কলেজটি শিক্ষায় ঈর্ষণীয় অবদান রেখেছে যেটা বিগত বছরগুলোর এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে।বর্তমানে বাণিজ্য, বিজ্ঞান, ও কলা বিভাগে  ৩০০ জন ছাত্র-ছাত্রী কলেজে পড়ালেখা করছে। নিয়মিত ক্লাস পরীক্ষা সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় ও বিভিন্ন জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় নিয়মিত পালন করা হয়। নিয়মিত ছাত্র-ছাত্রীদের হোম ভিজিট করা হয়। কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা এখান থেকে উত্তীর্ণ হয়ে মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছে।শিক্ষক, অভিভাবক ও ছাত্র- ছাত্রীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় হাঁটি হাঁটি পা করে এগিয়ে চলছে প্রতিষ্ঠানটি।

 

Site developed by jobayer khan